রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ী এলাকা উপজাতী পল্লী বড় খোলা পাড়ার একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেস্তে যেতে চলছে। এই স্কুলে মাত্র দুই জন শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষার কার্যক্রম। এলাকায় কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার হেঁেট স্কুলে যেতে হয় এই গ্রামের শিক্ষার্থীদের। এলাকার শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বাড়ানোসহ একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সরফভাটা বড়খোলা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনন্ত মারমা জানান, সরফভাটার দূর্গম পাহাড়ী এই এলাকায় প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। এই এলাকার জীবনমান খুবই কষ্টকর। মূল রাঙ্গুনিয়া থেকে এই এলাকার অনেকটা বিচ্ছিন্ন। এলাকার বেশির ভাগই উপজাতীদের বসবাস। ১৬০ জন শিক্ষার্থীদের বিপরীতে একটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র দুই জন শিক্ষক দিয়ে চলে স্কুলের কার্যক্রম। তাও শিক্ষার্থীদের তুলনায় স্কুল কক্ষ খুবই অপ্রতুল। অফিস কক্ষসহ মাত্র ৩ কক্ষ দিয়ে চলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। তাছাড়া স্কুলে বেে র সংকট তো আছে। পুরনো এই স্কুলের কক্ষগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ন। স্কুলের ছাদের আস্তরণ খসে পড়েছে। বর্ষাকালে স্কুল কক্ষে বৃষ্টির পানি ঢুকে শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগে ক্লাস করতে হয়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইদ্রিছ জানান, স্কুলের শিক্ষক সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে স্কুলের অন্যান্য সমস্যাও নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, সরফভাটা বড় খোলা পাড়া এলাকা একটি দূর্গম পল্লী। এই এলাকার জীবনমান উন্নয়নে সরকারের বহুমুখী সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত আছে। স্কুলের শিক্ষক সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।